লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামের ফারুক (২৮) ও মোছাঃ ববিতা (৩০) উভয়ের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পানির ও স্যানেটারী মিস্ত্রী মোঃ জিয়াউর রহমান এর অসহায় পরিবার। একের পর এক মামলা করলেও তা প্রমাণ করতে পারেনি। সর্বশেষ একটি নারী কেলেংকারী মিথ্যা মামলায় তাকে জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাদী মোঃ জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট সদর থানার সর্বশেষ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ লালমনিরহাটের বনগ্রাম গ্রামের ফায়নাল ওরফে আজিজার রহমানের পুত্র বিবাদী ফারুক (২৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিকের কন্যা মোছাঃ ববিতা (৩০) ২লক্ষ টাকা দাবীসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। ১নং বিবাদী মোঃ ফারুক এর সহিত দীর্ঘদিন ধরিয়া পূর্বের শত্রুতার জেরে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। এরই রেশ ধরিয়া ১নং বিবাদী আমাকে নারী কেলেংকারী মিথ্যা মামলা দিয়া বেশ কয়েকবার বড় ধরনের ক্ষতি সাধণ করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। ১ ও ২নং বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যোগসাজস করিয়া গত ১৩/০৫/২০২৪ইং তারিখে অনুমান সন্ধ্য ৭.৩০ ঘটিকার সময় ১ ও ২নং বিবাদী আমাকে টালমোড় পাঠাগারের সামনে রাস্তায় আটক করিয়া তাহাদের দাবীকৃত টাকা চাহিলে আমি তাহা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাই সেই কারণে ১নং বিবাদী আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া শার্টের কলার চাপিয়া ধরে এবং ২নং বিবাদী ববিতা ঝাপটায় ধরে আমি ভয় পাইয়া দিক বেদিক না দেখিয়া বাঁচাও বাঁচাও চিল্লাচিল্লি করিতে থাকিলে ১নং বিবাদী মোঃ ফারুক আমার শার্টের পকেট হইতে ৭০হাজার টাকা ছিনাইয়া নেয় এবং বলে বাকী টাকা না পাইলে তোর ও তোর পরিবারের সবাইকে জানে শেষ করিয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। ২নং বিবাদী বলে ভবিষ্যতে টাকা না পাইলে তোর ছেলে ও মেয়েকে জানে শেষ করিয়া গুম করিয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে ১ ও ২নং বিবাদী ঘটনাস্থান ত্যাগ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, বিবাদী মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানির ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলেই মামলায় জড়ানোর ভয় দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, এ সব ঘটনায় থানায় কয়েক বার মামলা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মামলার অগ্রগতি হযনি।
তিনি আরও জানান, ফারুক ও ববিতার এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করেন।